মানুষের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে মধুর কর্মটি হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা। আর স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার তীব্রতম প্রকাশ হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক। শারীরিক সহবাসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের যতো সান্নিধ্য লাভ করতে পারে, তা অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়।
এখানে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের কিশু আসনের বর্ণনা দেওয়া হলঃ
(সহবাসের শুরুতে কিছু প্রেমক্রীড়া দ্বারা পরস্পরের মধ্যে আবেগ জাগ্রত করে নিবে। তা এই আলোচনায় উহ্য রাখা হল)
সহবাসের আসনগুলোকে ভাগ করা যায় মূলত চারভাগে। যথা
(ক) পুরুষপ্রধান আসন
(খ) রমণীপ্রধান আসন
(গ) নিরপেক্ষ আসন
(ঘ) বিবিধ
এখানে মনে রাখা দরকার, একজোড়া দম্পতির জন্য সকল আসন উপযোগী হবে, তা আশা করা যায় না। এক জোড়া দম্পতির জন্য কোন প্রকার আসন উপযুক্ত হবে, তা খুঁজে বের করতে হবে নিজেদেরই। এর জন্য স্বামী-স্ত্রীর নিজেদেরকে জানতে হবে। সহবাসে পুরুষ আনন্দ পায় নারীর যোনি নিঃসৃত তরল থেকে। এই তরলে কামরস নামক পদার্থ থাকে, তা পুরুষাঙ্গে লাগলে স্বামীর সমগ্র দেহে এক প্রকার শিহরণ সৃষ্টি হয় এবং এক প্রকার ঝাঁকুনির মতো অনুভব করে। সহবাসকালীন স্ত্রীর আনন্দ কোন বিশেষ অঙ্গে অনুভূত না হয়ে সমগ্র গায়ে স্বামীর আদরের দ্বারা অর্জিত হয় তবে প্রধানত স্বামীর পুরুষাঙ্গের গোড়া দ্বারা যোনিমুখের ভগাঙ্কুরে ঘর্ষণের ফলে তীব্রতর আনন্দ হয়।
সব নারীর যোনি নিঃসৃত তরলে সমপরিমাণ কামরস থাকে না। যাদের কামরস অধিক পরিমাণে থাকে, তাদের সাথে সহবাসে স্বামী শিহরণে শিহরণে আত্মহারা হয়ে উঠে এবং স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ছোট হলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কামরসের উপস্থিতির দরুণ আনন্দের আতিসাহ্য গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ আসন প্রয়োজন। আবার যদি স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে ও অধিককালব্যাপী স্থায়ী হয়, তবে তার যোনিরসে কামরসের পরিমাণ কম থাকে। তখন স্বামী সহবাসের তীব্রতর পুলক লাভ করতে পারে না। এমনকি স্বামীর পুরুষাঙ্গখানি বড় আকারের হলে পুরুষাঙ্গটিকে শিহরিত করার জন্য প্রয়োজনের চাইতে অল্প কামরসের দরুণ স্বামী সহবাসের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রেও অবশ্যই বিশেষ আসনের প্রয়োজন আছে।
আমাদের পরবর্তী আলোচনার সুবিধার্থে আমরা এখানে নারী-পুরুষের একখানি শ্রেণীবিভাগ করবো। নারীকে তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) নীরস (এদের ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে হয়, ফলে কামরসের ঘনত্ব কম)
(খ) সাধারণ (এদের ঋতুস্রাব স্বাভাবিক পরিমাণ। এরা স্বামীকে সাধারণত তুষ্ট করতে পারে)
(গ) ঝাঁজালো (এদের ঋতুস্রাব সাধারণের তুলনায় কিছুটা কম, তাই কামরসের ঘনত্ব অধিক। তাদের সাথে সহবাসে স্বামীর পুরুষাঙ্গে তীব্র শিহরণ অনুভূত হয় এবং স্বামী আনন্দে দিশেহারা হয়ে যায়)
পুরুষকেও অনুরূপ তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) খর্ব (এদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় অর্থাৎ মিলনের জন্য উত্থিত অবস্থায় পাঁচ আঙ্গুল বা তার চাইতে কম দীর্ঘ হয়। নীরস রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, সাধারণে অধিক আনন্দ হয়। কিন্তু ঝাঁজালো স্ত্রী হলে আনন্দ শিহরণ ও ঝাঁকুনির মাত্রা পুরুষাঙ্গে সহ্য করা কষ্টকর হয়)
(খ) সাধারণ (উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল দীর্ঘ হয়। সকল নারীতেই তৃপ্তি, তবে নীরসে কিছুটা কম ও ঝাঁজালোতে অধিক)
(গ) দীর্ঘ (উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য সাত আঙ্গুল বা তার চাইতে অধিক, এমনকি নয় বা দশ আঙ্গুল পর্যন্ত হতে পারে। ঝাঁজালো রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, কারণ বৃহৎ পুরুষাঙ্গের প্রয়োজনীয় অধিক কামরস ঝাঁজালো রমণীই যোগান দিতে পারে। সাধারণ স্ত্রীতে স্বল্প আনন্দ এবং নীরস স্ত্রীর সাথে সহবাসে বিশেষ আনন্দ নাই)
এ সংক্রান্ত পোস্টটি দেখুন এখানে
পুরুষপ্রধান আসনঃ
পুরুষ প্রধান আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্বামীর কাছে, তবে স্ত্রীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই পদ্ধতিটিই সাধারণ সহবাস কৌশল হিসাবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এই আসনে স্ত্রী চিৎ হয়ে শয়ন করে ও স্বামী তার উপর উপুর হয়ে গমন করে। স্বামীর পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কম হলে স্ত্রী পা দুইটি সোজা করে রাখবে। আন্যথায় স্ত্রী হাঁটু ভাঁজ করে পা দুইটি স্বারা স্বামীর কোমর বেষ্টন করে রাখবে। এতে উভয়ের আনন্দ অধিক হবে। স্বামীর পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হলে স্বামীর উচিৎ হবে সঠিক প্রবেশ নিশ্চিত করতে স্ত্রীর পা দুইটিকে আরও উপরে তুলে নিয়ে স্বামীর দুই কাঁধের উপরে স্থাপন করা। আরও গভীর প্রবেশের সুবিধার্থে স্ত্রীর কোমরের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ স্থাপন করা যেতে পারে।
রমণীপ্রধান আসনঃ
এই প্রকার আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্ত্রীর হাতে। স্বামী বদমেজাজী হলে অথবা স্বামী যদি স্ত্রীকে উৎপীড়ন-নির্যাতন করে, তাহলে স্বামীকে বশে আনতে স্ত্রীর প্রধান অস্ত্র রমণীপ্রধান আসন। তাছাড়া স্ত্রী যদি নীরস (ঋতুস্রাব অধিক স্থায়ী) হয়, তাহলে স্বামীকে সহবাসের পর্যাপ্ত আনন্দ প্রদান করতে রমণীপ্রধান আসনই উপযুক্ত, বিশেষ করে স্বামী যদি দীর্ঘ হয়। এই প্রকার আসনে স্বামী চিৎ হয়ে শয়ন করবে এবং স্ত্রী তার উপর উপুর হয়ে শুয়ে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে নিবে। তারপর স্ত্রী নিজের কোমর সামনে-পিছনে, উপর-নিচে, ডানে-বামে কিংবা বৃত্তাকারে নানা প্রকারে ঘুরিয়ে (যে প্রকারে আনন্দ সর্বাধিক হয়) সহবাস পরিচালনা করবে। স্ত্রীর হাঁটু ভাঁজ করে স্বামীর কোমরের দুই পাশে ফেলে রাখতে পারে অথবা পা সোজা করেও রাখতে পারে। বেশিরভাগ স্বামী স্ত্রীকে পরিচালনার ভূমিকায় দেখতে অপছন্দ করলেও কিছু কিছু পুরুষ অধিক আনন্দের জন্য রমণীপ্রধান আসন পছন্দ করে থাকে।
নিরপেক্ষ আসনঃ
এই আসনেও কার্যকর ভূমিকা থাকে স্বামীরই, তবে কেউ কারও উপর শায়িত থাকে না বলে নিরপেক্ষ আসন বলে। যদি স্বামীর পুরুষাঙ্গ খর্ব হয়ে থাকে, তাহলে অধিক গভীরতায় প্রবেশের নিমিত্তে এই আসনটি সর্বাধিক উপযুক্ত। এই আসনে স্ত্রী দুই হাতের কুনুই ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে উঁবু হবে (হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিমায়), আর স্বামী তার পেছন থেকে (হাঁটুর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে) স্ত্রীর যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সামনে পেছনে কোমর চালনা করে সহবাস সম্পাদন করবে। তবে কোন ক্রমেই পায়ুপথে সহবাস করা যাবে না, কারণ তা ধর্মমতে ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এই আসনে পূর্বেকার আসন দুইটির মতো ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন ও অন্যান্য আদর-সোহাগের সুযোগ কম থাকে।
বিবিধঃ
এছাড়াও আরও নানা প্রকারে সহবাস হতে পারে। যেমন সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা সমান হতে হবে।
সামনাসামনি বসে। পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে, পাশাপাশি বিপরীতমুখী শুয়ে, ইত্যাদি বহুবিধ আসন।
সহবাসে আসন সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন স্বাভাবিক নিয়মে সহবাস করার পর ভিন্ন ভিন্ন আসনে চেষ্টা করে দেখতে হবে নিজেদের সবচাইতে উপযুক্ত আসন কোনটি এবং কোন আসনে পরস্পরের সর্বাধিক সুখ বোধ হয়। তারপর সেই আসনেই সর্বদা মিলিত হবে। কেননা ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বামী আনন্দ পাচ্ছে, কিন্তু স্ত্রী সুখ বোধ করছে না, অথবা স্ত্রী সন্তুষ্ট, কিন্তু স্বামী সুখী নয়, এরূপ আসন নির্বাচন করা যাবে না। তাতে দাম্পত্য জীবনে আনন্দের ঘাটতি দেখা দিবে।
স্বামী কোন নির্দিষ্ট আসনে সহবাস না করে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস করে, এরূপ হলে স্ত্রীর বুঝতে হবে সে স্বামীকে পূর্ণাঙ্গরূপে তৃপ্ত করতে পারছে না, যা একজন পুরুষ চায়। তখন স্বামীকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে সচেষ্ট হতে হবে।
এখানে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের কিশু আসনের বর্ণনা দেওয়া হলঃ
(সহবাসের শুরুতে কিছু প্রেমক্রীড়া দ্বারা পরস্পরের মধ্যে আবেগ জাগ্রত করে নিবে। তা এই আলোচনায় উহ্য রাখা হল)
সহবাসের আসনগুলোকে ভাগ করা যায় মূলত চারভাগে। যথা
(ক) পুরুষপ্রধান আসন
(খ) রমণীপ্রধান আসন
(গ) নিরপেক্ষ আসন
(ঘ) বিবিধ
এখানে মনে রাখা দরকার, একজোড়া দম্পতির জন্য সকল আসন উপযোগী হবে, তা আশা করা যায় না। এক জোড়া দম্পতির জন্য কোন প্রকার আসন উপযুক্ত হবে, তা খুঁজে বের করতে হবে নিজেদেরই। এর জন্য স্বামী-স্ত্রীর নিজেদেরকে জানতে হবে। সহবাসে পুরুষ আনন্দ পায় নারীর যোনি নিঃসৃত তরল থেকে। এই তরলে কামরস নামক পদার্থ থাকে, তা পুরুষাঙ্গে লাগলে স্বামীর সমগ্র দেহে এক প্রকার শিহরণ সৃষ্টি হয় এবং এক প্রকার ঝাঁকুনির মতো অনুভব করে। সহবাসকালীন স্ত্রীর আনন্দ কোন বিশেষ অঙ্গে অনুভূত না হয়ে সমগ্র গায়ে স্বামীর আদরের দ্বারা অর্জিত হয় তবে প্রধানত স্বামীর পুরুষাঙ্গের গোড়া দ্বারা যোনিমুখের ভগাঙ্কুরে ঘর্ষণের ফলে তীব্রতর আনন্দ হয়।
সব নারীর যোনি নিঃসৃত তরলে সমপরিমাণ কামরস থাকে না। যাদের কামরস অধিক পরিমাণে থাকে, তাদের সাথে সহবাসে স্বামী শিহরণে শিহরণে আত্মহারা হয়ে উঠে এবং স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ছোট হলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কামরসের উপস্থিতির দরুণ আনন্দের আতিসাহ্য গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ আসন প্রয়োজন। আবার যদি স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে ও অধিককালব্যাপী স্থায়ী হয়, তবে তার যোনিরসে কামরসের পরিমাণ কম থাকে। তখন স্বামী সহবাসের তীব্রতর পুলক লাভ করতে পারে না। এমনকি স্বামীর পুরুষাঙ্গখানি বড় আকারের হলে পুরুষাঙ্গটিকে শিহরিত করার জন্য প্রয়োজনের চাইতে অল্প কামরসের দরুণ স্বামী সহবাসের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রেও অবশ্যই বিশেষ আসনের প্রয়োজন আছে।
আমাদের পরবর্তী আলোচনার সুবিধার্থে আমরা এখানে নারী-পুরুষের একখানি শ্রেণীবিভাগ করবো। নারীকে তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) নীরস (এদের ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে হয়, ফলে কামরসের ঘনত্ব কম)
(খ) সাধারণ (এদের ঋতুস্রাব স্বাভাবিক পরিমাণ। এরা স্বামীকে সাধারণত তুষ্ট করতে পারে)
(গ) ঝাঁজালো (এদের ঋতুস্রাব সাধারণের তুলনায় কিছুটা কম, তাই কামরসের ঘনত্ব অধিক। তাদের সাথে সহবাসে স্বামীর পুরুষাঙ্গে তীব্র শিহরণ অনুভূত হয় এবং স্বামী আনন্দে দিশেহারা হয়ে যায়)
পুরুষকেও অনুরূপ তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) খর্ব (এদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় অর্থাৎ মিলনের জন্য উত্থিত অবস্থায় পাঁচ আঙ্গুল বা তার চাইতে কম দীর্ঘ হয়। নীরস রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, সাধারণে অধিক আনন্দ হয়। কিন্তু ঝাঁজালো স্ত্রী হলে আনন্দ শিহরণ ও ঝাঁকুনির মাত্রা পুরুষাঙ্গে সহ্য করা কষ্টকর হয়)
(খ) সাধারণ (উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল দীর্ঘ হয়। সকল নারীতেই তৃপ্তি, তবে নীরসে কিছুটা কম ও ঝাঁজালোতে অধিক)
(গ) দীর্ঘ (উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য সাত আঙ্গুল বা তার চাইতে অধিক, এমনকি নয় বা দশ আঙ্গুল পর্যন্ত হতে পারে। ঝাঁজালো রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, কারণ বৃহৎ পুরুষাঙ্গের প্রয়োজনীয় অধিক কামরস ঝাঁজালো রমণীই যোগান দিতে পারে। সাধারণ স্ত্রীতে স্বল্প আনন্দ এবং নীরস স্ত্রীর সাথে সহবাসে বিশেষ আনন্দ নাই)
এ সংক্রান্ত পোস্টটি দেখুন এখানে
পুরুষপ্রধান আসনঃ
পুরুষ প্রধান আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্বামীর কাছে, তবে স্ত্রীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই পদ্ধতিটিই সাধারণ সহবাস কৌশল হিসাবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এই আসনে স্ত্রী চিৎ হয়ে শয়ন করে ও স্বামী তার উপর উপুর হয়ে গমন করে। স্বামীর পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কম হলে স্ত্রী পা দুইটি সোজা করে রাখবে। আন্যথায় স্ত্রী হাঁটু ভাঁজ করে পা দুইটি স্বারা স্বামীর কোমর বেষ্টন করে রাখবে। এতে উভয়ের আনন্দ অধিক হবে। স্বামীর পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হলে স্বামীর উচিৎ হবে সঠিক প্রবেশ নিশ্চিত করতে স্ত্রীর পা দুইটিকে আরও উপরে তুলে নিয়ে স্বামীর দুই কাঁধের উপরে স্থাপন করা। আরও গভীর প্রবেশের সুবিধার্থে স্ত্রীর কোমরের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ স্থাপন করা যেতে পারে।
রমণীপ্রধান আসনঃ
এই প্রকার আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্ত্রীর হাতে। স্বামী বদমেজাজী হলে অথবা স্বামী যদি স্ত্রীকে উৎপীড়ন-নির্যাতন করে, তাহলে স্বামীকে বশে আনতে স্ত্রীর প্রধান অস্ত্র রমণীপ্রধান আসন। তাছাড়া স্ত্রী যদি নীরস (ঋতুস্রাব অধিক স্থায়ী) হয়, তাহলে স্বামীকে সহবাসের পর্যাপ্ত আনন্দ প্রদান করতে রমণীপ্রধান আসনই উপযুক্ত, বিশেষ করে স্বামী যদি দীর্ঘ হয়। এই প্রকার আসনে স্বামী চিৎ হয়ে শয়ন করবে এবং স্ত্রী তার উপর উপুর হয়ে শুয়ে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে নিবে। তারপর স্ত্রী নিজের কোমর সামনে-পিছনে, উপর-নিচে, ডানে-বামে কিংবা বৃত্তাকারে নানা প্রকারে ঘুরিয়ে (যে প্রকারে আনন্দ সর্বাধিক হয়) সহবাস পরিচালনা করবে। স্ত্রীর হাঁটু ভাঁজ করে স্বামীর কোমরের দুই পাশে ফেলে রাখতে পারে অথবা পা সোজা করেও রাখতে পারে। বেশিরভাগ স্বামী স্ত্রীকে পরিচালনার ভূমিকায় দেখতে অপছন্দ করলেও কিছু কিছু পুরুষ অধিক আনন্দের জন্য রমণীপ্রধান আসন পছন্দ করে থাকে।
নিরপেক্ষ আসনঃ
এই আসনেও কার্যকর ভূমিকা থাকে স্বামীরই, তবে কেউ কারও উপর শায়িত থাকে না বলে নিরপেক্ষ আসন বলে। যদি স্বামীর পুরুষাঙ্গ খর্ব হয়ে থাকে, তাহলে অধিক গভীরতায় প্রবেশের নিমিত্তে এই আসনটি সর্বাধিক উপযুক্ত। এই আসনে স্ত্রী দুই হাতের কুনুই ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে উঁবু হবে (হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিমায়), আর স্বামী তার পেছন থেকে (হাঁটুর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে) স্ত্রীর যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সামনে পেছনে কোমর চালনা করে সহবাস সম্পাদন করবে। তবে কোন ক্রমেই পায়ুপথে সহবাস করা যাবে না, কারণ তা ধর্মমতে ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এই আসনে পূর্বেকার আসন দুইটির মতো ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন ও অন্যান্য আদর-সোহাগের সুযোগ কম থাকে।
বিবিধঃ
এছাড়াও আরও নানা প্রকারে সহবাস হতে পারে। যেমন সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা সমান হতে হবে।
সামনাসামনি বসে। পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে, পাশাপাশি বিপরীতমুখী শুয়ে, ইত্যাদি বহুবিধ আসন।
সহবাসে আসন সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন স্বাভাবিক নিয়মে সহবাস করার পর ভিন্ন ভিন্ন আসনে চেষ্টা করে দেখতে হবে নিজেদের সবচাইতে উপযুক্ত আসন কোনটি এবং কোন আসনে পরস্পরের সর্বাধিক সুখ বোধ হয়। তারপর সেই আসনেই সর্বদা মিলিত হবে। কেননা ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বামী আনন্দ পাচ্ছে, কিন্তু স্ত্রী সুখ বোধ করছে না, অথবা স্ত্রী সন্তুষ্ট, কিন্তু স্বামী সুখী নয়, এরূপ আসন নির্বাচন করা যাবে না। তাতে দাম্পত্য জীবনে আনন্দের ঘাটতি দেখা দিবে।
স্বামী কোন নির্দিষ্ট আসনে সহবাস না করে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস করে, এরূপ হলে স্ত্রীর বুঝতে হবে সে স্বামীকে পূর্ণাঙ্গরূপে তৃপ্ত করতে পারছে না, যা একজন পুরুষ চায়। তখন স্বামীকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে সচেষ্ট হতে হবে।
Fine. Thanks.
উত্তরমুছুন