শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

স্বামী-স্ত্রী সহবাস সংক্রান্ত টিপস-২ (স্ত্রীর জন্য)

প্রথমেই স্ত্রীর স্বামীর যৌনতা সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক জ্ঞান রাখতে হবে। এ সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ুন এখানে
তারপর অগ্রসর হোনঃ
সাধারণ টিপসঃ
ক। মিলনের প্রস্তুতিঃ
১. বেশিরভাগ মেয়ে সারাদিন কাজের শেষে ঘর্মাক্ত শরীরে স্বামীর সাথে শুতে যায়। কিন্তু স্বামী সর্বদা আশা করে স্ত্রী সতেজ অবস্থায় তার শয্যাসঙ্গী হবে। তাই পরিচ্ছন্ন অবস্থায় বিছানায় যাবে।
২. সহবাসের রাত্রিগুলিতে সাজসজ্জা ও পোশাকের ব্যাপারে স্বামীর পছন্দের গুরুত্ব দিবে।
৩. অন্যান্য দিনে অন্তর্বাস পরিধান না করলেও সহবাসের রাত্রিতে ব্লাউজের নিচে বক্ষবন্ধনী ও নিম্নাঙ্গে প্যান্টি পরা উচিৎ। এর ফলে স্বামী মিলনে বাড়তি উত্তেজনা অনুভব করে।
৪. যে সব মেয়ের গুপ্তাঙ্গে ঘন চুল আছে, তারা অনেকেই চুল কেটে রাখতে চায়। সাধারণত যে সকল নারীর যোনিপথের কোমলতা কম, তাদের যোনিমুখের চুল অধিক ঘন হয়। তারা যদি চুল কামিয়ে রাখে, তবে যোনিমুখের চামড়াও শক্ত হয়ে যায়, যা স্বামীর আরও অপছন্দের কারণ হয়। গুপ্তাঙ্গের চুলের ব্যাপারে স্বামীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে। স্বামী যদি চুল অপছন্দ করে, তাহলে ছেঁটে রাখবে, কিন্তু কামিয়ে চামড়ার আরও কোমলতাহানি করবে না।
৫. মুখের গন্ধের ব্যাপারে সচেতন হবে। সম্ভব হলে বিছানায় যাবার আগে দাঁত মেজে নিবে।

খ। মিলনের আগেঃ
১. স্বামী উত্তেজিত হলে তার একমাত্র লক্ষ্য থাকে স্ত্রীর যোনিপথে প্রবেশ, অন্য কিছুর ধৈর্য্য তার তখন থাকে না। পর্যাপ্ত প্রেম সত্যেও বেশিরভাগ পুরুষ তখন মধুর প্রেমক্রীড়া করতে পারে না, ফলে মিলনের সময়টা কমে আসে। তাই স্ত্রীর উচিত স্বামীকে কাম চরিতার্থ করার পাশাপাশি প্রেম ক্রীড়ায় উৎসাহিত করা। এজন্য উচিৎ স্বামীকে আলিঙ্গন ও চুম্বনের মাধ্যমে তার ভেতরের প্রেমিক সত্তাকে জাগ্রত করে তোলা।
২. চুম্বনের সময় পরস্পরের জিহ্বা নিয়ে খেলবে, জিহ্বা দিয়ে জিহ্বায় আঘাত করবে। আর স্ত্রীর উচিৎ জিহ্বার লড়াইয়ে জয় লাভ করা এবং স্বামীর মুখের অভ্যন্তরে সূচালো করে জিহ্বা প্রবিষ্ট করে দেওয়া। জননাঙ্গের পাশাপাশি মুখের এই মিলন অত্যন্ত আনন্দদায়ক। আর বলা হয়, সহবাসে স্বামীর পুরুষাঙ্গ স্ত্রীতে প্রবেশ করে, আর স্ত্রীর জিহ্বা স্বামীতে প্রবেশ করবে, এই সুন্দর বিনিময়ে অর্জিত হবে স্বর্গসুখ।
৩. সাধারণত দেখা যায়, স্বামী উত্তেজনার বশে স্ত্রীর কাপড় খুলছে, কিন্তু স্ত্রী নিশ্চুপ। পরে স্বামী বেচারাকে নিজের উত্তেজনা বিসর্জন দিয়ে নিজের কাপড় খোলায় মনোযোগ দিতে হয়। কিন্তু স্ত্রীর উচিৎ, স্বামী যখন তার কাপড় খুলবে, তখন ধীরে ধীরে স্বামীর কাপড় খোলার দিকেও মনোযোগ দেওয়া। এই পারস্পরিক সৌহার্দ্য মিলনের আনন্দ যে কতগুণ বাড়িয়ে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. স্বামীকে যে স্ত্রী উপলব্ধি করাতে পারে যে তার রূক্ষ শরীরও স্পর্শকাতর, সেই প্রকৃত রমণী। স্বামী যেমন স্ত্রীর গায়ে হাত বুলায়, স্ত্রীর স্তন চুম্বন করে, তেমন করে স্ত্রী যদি স্বামীর সর্বাঙ্গে হাত বুলায়, চুম্বন করে, বিশেষ করে বাহুতে, বুকে ও পিঠে। আরেকটি কাজ আছে যা পুরুষকে অত্যন্ত আহ্লাদিত করে, তা হলো তার গলার নিচে ও বুকে চুম্বন।
৫. স্বামীর সহবাসের আনন্দ কখনও পূর্ণ হয় না, যদি না যোনিতে প্রবেশের পূর্বে স্ত্রী তার পুরুষাঙ্গে হাতের স্পর্শ দেয়। মিলনের পূর্বের যৌন্তাপূর্ণ প্রেমক্রীড়ায় স্ত্রীর উচিৎ স্বামীর লিঙ্গখানিতে স্পর্শ করা, মুঠোতে ধরা এবং স্বামীর অণ্ডোকোষে হাত বুলিয়ে দেওয়া। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অণ্ডকোষ খুবই স্পর্শকাতর এবং সামান্য আঘাতেই প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

গ। মিলনের সময়ঃ
মিলনের সময় কী করা উচিৎ তা এভাবে ক্রমিক নম্বর দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব নয়, কারণ তা নির্ভর করবে স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক বৈশিষ্টের উপর। প্রথম কর্মপ্রণালী সকলের জন্যঃ
১. সঙ্গমের সময় স্বামীকে যথা সম্ভব কাছে টেনে রাখবে, যেন বুকের মাঝে মিশিয়ে ফেলতে চাইছে।
২. অধিক পরিমাণে চুম্বন করবে, স্বামীর বাহু, কাঁধ, গলা, মুখে। আর স্বামী যেরূপ স্ত্রীর যোনিতে তার বিশেষ অঙ্গ প্রবেশ করিয়েছে, সেরূপ স্বামীর মুখে চুম্বনের মাধ্যমে গভীরভাবে জিহ্বা প্রবেশ করিয়ে দিবে।
৩. সঙ্গম করা স্বামীর জন্য অত্যত পরিশ্রমের কাজ। তাই মাঝে মাঝে নিবিড় চুম্বনের মাধ্যমে স্বামীকে কিছু মুহূর্তের জন্য বিরতি দিবে।

দ্বিতীয় কর্মপ্রণালী নীরস মেয়েদের জন্য। নীরস বলতে যাদের সাথে সহবাসে স্বামী বেশি আনন্দ পায় না। যদি অনুচ্চ স্তন (যা নির্দেশ করে অল্প যোনিরস), সাধারণের অধিক ঋতুস্রাব (যা নির্দেশ করে যোনিরসে পুরুষের আনন্দের উপকরণ কামরসের ঘাটতি), যোনিমুখে পুরুষের বাহু/পায়ের লোম অপেক্ষা ঘন চুল (যা নির্দেশ করে যোনিপথের স্বাভাবিক কোমলতার অভাব)- বৈশিষ্ট্য তিনটির অন্তত দুইটি থাকে, তবে সেই রমণী নীরস। নীরস রমণীর করণীয়ঃ
১. স্বামী যদি খর্ব হয় (পুরুষাঙ্গ পাঁচ আঙ্গুলের কম), তাহলে কোন সমস্যা নেই, বরং স্বামী পুর্ণাঙ্গ আনন্দ পাবে। তাই দুশ্চিন্তা না করে সহবাসে মনোনিবেশ করবে।
২. স্বামী সাধারণ হলে (পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল দীর্ঘ) স্ত্রীর উচিৎ হবে সহবাসের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়া, তা না হলে স্বামীকে সম্পূর্ণ সুখ দিতে পারবে না। নিজে নিজেকে সুরসুরি দিলে অনুভূতি কম হয়, কিন্তু অন্য কেউ দিলে অধিক অনুভব করা যায়, সেরূপ স্ত্রী যদি নিজে কোমর চালনা করে সহবাস কার্য চালায়, তাহলে স্বামীর অধিক আনন্দ হয়।
৩. যদি স্বামী দীর্ঘ হয় (পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুলের অধিক), তাহলে তাকে তৃপ্ত করতে স্ত্রীকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। তার জন্য

রমণীর যৌনাবেদন ও পুরুষের কামনার সংযোগ



৩৬-২৪-৩৬ এর রহস্য সমাধানঃ
পুরুষেরা দৃষ্টিসুখের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এজন্য একজন নারী একজন সুদর্শন পুরুষকে যত কামনা করে, তার চেয়ে একজন পুরুষ অনেক বেশি পরিমাণে একজন সুন্দরী নারী কামনা করে। আর সৌন্দর্যের মাপকাঠি পুরুষদের দৃষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ে শারীরিক সৌন্দর্যে। শারীরিক সৌন্দর্যের এক আদর্শ মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে ৩৬-২৪-৩৬অর্থাৎ উন্নত বুক, সরু কোমর এবং গুরুনিতম্ব। তবে এই সৌন্দর্য কি শুধুই দেখতে সুন্দর বলে পুরুষের পছন্দের শীর্ষে?
এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সম্প্রতি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দলতাদের দাবী, হাজার বছর ধরে উন্নত বুক, সরু কোমর এবং গুরুনিতম্বের অধিকারিণী নারীরা  সন্তান ধারণের জন্য সর্বাধিক উপযোগী শরীর এবং তার সাথে স্বামীকে অধিক শারীরিক সুখের যোগান দিতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে আসছে বলেই তাদের প্রতি পুরুষের এত আকর্ষণ।
সরু কোমর নারীর মেদহীন কটিদেশের পরিচায়ক, যা সন্তান ধারণের জন্য খুবই উপযোগী। গুরু নিতম্ব নির্দেশ করে নারীর শ্রোণীচক্রের অধিক ভার ধারণ ক্ষমতা, এটাও স্বাস্থ্যবান সন্তান ধারণের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। নারীর শারীরিক সামর্থ পুরুষদের চেয়ে কম হলেও নারীর শ্রোণীচক্রের অস্থিগুলো পুরুষদের চেয়ে সুগঠিত হয় ও অধিক ভারবহনে সক্ষম থাকে। আর এই সামর্থের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটে একজন ভারী পশ্চাদ্দেশের অধিকারিণী নারীর মাঝে। গবেষকদলের মতে সন্তান ধারণের এই অধিক উপযুক্ততার জন্যই এ সমস্ত দেহ বৈশিষ্ট্যের অধিকারিণীদের প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। তবে গবেষকেরা বিস্মিত হয়েছেন স্তনের বিষয়ে। তাদের ধারণা ছিল, পুরুষের বড় স্তনের প্রতি আকর্ষণের মূল কারণ হচ্ছে সন্তানের জন্য অধিক দুধপানের নিশ্চয়তা। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে যে, মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ স্তনের আকৃতির উপর নির্ভর করে না। অনেক ছোট স্তনের নারীও সন্তানের জন্য অধিক দুধ উৎপাদনে সক্ষম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, পুরুষদের বড় স্তনের প্রতি আকর্ষণের আসল কারণ নিজের যৌন সুখ লাভ। দেখা গেছে, যে হরমোন নারীর স্তনের বৃদ্ধি ঘটায়, সেই একই হরমোন নারীর যোনিরস সৃষ্টি করে। যোনিরস হচ্ছে স্বামীর সাথে সঙ্গমের সময় যোনিপথে নিঃসৃত এক জাতীয় চটচটে তরলযোনিরসে স্বামীর পুরুষাঙ্গের জন্য উত্তেজক রস নামক এক প্রকার রস মিশ্রিত থাকে, যা যৌন মিলনের সময় পুরুষের আনন্দের প্রধান উপকরণ। দেখা গেছে যে বড় স্তনের নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত যোনিরসের ক্ষরণ বেশি থাকে, ফলে তাদের সাথে মিলনে স্বামী ছোট স্তনের নারীর চেয়ে অনেক বেশি সুখ আস্বাদন করেবহু শতাব্দী ধরে এই কারণেই পুরুষের চিন্তায় মিশে গেছে যে বড় স্তনের নারী মানেই আকর্ষণীয়া নারী

কীসের লোভে পুরুষ বারংবার স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের জন্য আকুল হয়ে থাকে:
 প্রথমেই যোনির অভ্যন্তরীণ গঠণ। নারীর শরীরের সবচেয়ে কোমল স্থান তার যোনির অভ্যন্তরভাগ। অসংখ্য কোমল ভাঁজের সমন্বয়ে গঠিত এই গহবরের উষ্ণতা ও কোমলতা পুরুষাঙ্গের জন্য অত্যন্ত আরামপ্রদ। তবে নারীকে জানতে হবে, সবার যোনি কিন্তু একই রকম কোমল হয় না। কিছু কিছু মেয়ের গুপ্তস্থানে চুলের পরিমাণ খুব কম থাকে বা প্রায় থাকেই না। তাদের যোনি সর্বাধিক কোমল হয়। আবার কারও কারও গুপ্তস্থানে খুব ঘন চুল থাকে (মেয়েদের গুপ্তস্থানে সাধারণত পুরুষের হাত বা পায়ের ন্যায় ঘন চুল থাকে, এতটুকু থাকলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি গুপ্তস্থানের চুলের ঘনত্ব পুরুষ মানুষের হাত-পায়ের চুলের চেয়ে অধিক ঘন মনে হয়), তাদের যোনির কিছুটা রুক্ষ প্রকৃতির হয়। যোনির কোমলতা পুরুষাঙ্গে শিহরণ সৃষ্টি করে। কিন্তু অধিক কোমলতা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে, যেমন সঙ্গম শুরু করতেই অধিক শিহরণে স্বামী দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে। আবার যোনির রূক্ষতায় স্বামী পর্যাপ্ত আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এসমস্ত সমস্যার সমাধান সম্বন্ধে পরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
আবার স্বামীর সাথে সঙ্গমের সময় নারীর যোনি সিক্ত হয়ে উঠে এক জাতীয় প্রায় তরল পদার্থের ক্ষরণে। একে বলে যোনিরস। এই যোনিরস সহবাসের সুখ অনুভবে সাহায্য করে স্বামীকে। যোনিরসে থাকে এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ, যার পুরুষাঙ্গে যার স্পর্শে স্বামী স্বর্গীয় সুখ অনুভব করে। মূলত যোনিরসের এই উত্তেজক পদার্থই মিলনে স্বামীর আনন্দের মূল উৎস। এই উত্তেজক পদার্থও আবার সকল নারীর সমান থাকে না। যদি কারও মাসিক ঋতুস্রাবে ক্ষরণ কম হয়, তবে তার যোনিরসে অধিক পরিমাণে উত্তেজক রস মিশ্রিত থাকে। আবার যাদের মাসিক ঋতুস্রাব অধিক হয়, তাদের যোনিরসে উত্তেজক পদার্থের ঘনত্ব অনেক কমে যেতে পারে। এ দুইটি ক্ষেত্রেও কিছু বিশেষ ভূমিকা নারীর পালন করা উচিত।

পুরুষের কামনার স্বরূপঃ
নারীর সমস্ত শরীর স্পর্শকাতর এবং মনটি কোমল প্রকৃতির। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একজন পুরুষের ক্ষেত্রে তা নয়। পুরুষের মনটি রূক্ষ, আর তার প্রায় সমস্ত যৌন অনুভূতি কেবল পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডথলিতে সীমাবদ্ধ, শরীরের অন্যত্র নারীদেহের ন্যায় স্পর্শকাতর নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ভাবে, তার স্বামীও বুঝি তার মতই ভালবাসার মানুষের সান্নিধ্য লাভের ফলেই কেবল মিলনে উৎসুক হয়ে উঠে। প্রকৃত বিষয়টি ভিন্ন। সাধারণত একজন পুরুষ মানুষ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মিলনের জন্য শারীরিকভাবে পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং এ সময় সহবাসের জন্য অত্যন্ত আগ্রাসী হয়ে উঠে, তা তার ভালবাসার মানুষের উপস্থিতিতেও হতে পারে আবার অনুপস্থিতিতেও হতে পারেএকারণেই অনেক পুরুষ ইন্দ্রিয়তাড়িত হয়ে পতিতালয়ে গমণ করে, হস্তমৈথুন করে অথচ নারী কেবলমাত্র ভালবাসার মানুষের স্পর্শেই সঙ্গমের ইচ্ছা অনুভব করে। আবার নারী যেমন প্রিয়তমের স্পর্শে অন্তহীন বৃষ্টিধারার মত বর্ষিত হতে থাকে, পুরুষের গমনেচ্ছা এরূপ দীর্ঘকালীন নয়। বরং পুরুষ স্ত্রী সহবাসের অল্প সময়ের মাঝেই তার বীর্য স্খলন ঘটে যায় এবং মিলনে অত্যুৎসুক স্বামীও তখন শান্ত-শিষ্ট ভাল মানুষ হয়ে যায়। আর যে পুরুষ ইন্দ্রিয় তাড়নায় কুপথে সহবাস করে, তার এই সময় অপরাধবোধ জাগ্রত হয়ে উঠে।
সুতরাং নারী ও পুরুষের কামনা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। তাই স্বামীকে পর্যাপ্ত আনন্দ দিতে তাকে নিজের মত নয়, বরং একজন পুরুষের কামনার আলোয় দেখতে হবে।

স্বামীর যৌনতার আদ্যন্তঃ
স্বামী সহবাসের সময় আনন্দ কীভাবে লাভ করে? স্ত্রীকে মনে রাখতে হবে, নারীর সহবাসের প্রকৃত সুখ যেরূপ হৃদয় থেকে ভালবাসার সন্তুষ্টি, স্বামীর হৃদয় স্রষ্টা সেরকম করে সৃষ্টি করেন নাই। স্ত্রী যেরকম সমস্ত দেহে স্বামীর স্পর্শে বিগলিত হয়, স্বামীর দেহখানি সেরকম নয়। নারীর মূল সুখেন্দ্রিয় যেখানে যোনিদ্বারের উপস্থিত ভগাঙ্কুর, সেরকম স্বামীর যৌন অনুভূতির প্রায় সকল বোধ কেবল তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডথলিতে। স্বামী একবার মিলনের নির্দিষ্ট বিরতির পর (সাধারণত পাঁচ দিন থেকে দুই সপ্তাহ বিরতি, তবে কারও কম বেশি হতে পারে) সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। এসময় তার তেজ বৃদ্ধি পায়, খাদ্যে আকর্ষণ কমে আসে, নারীদেহের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণ জন্মায়, স্ত্রী সহবাসের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠে। এসময়ই অধিকাংশ পুরুষের চরিত্রহানি তথা ঘৃণ্য কার্যাদি সম্পন্ন হয়। স্বামীর এই আগ্রাসী অবস্থায় যদি স্ত্রীকে নিবিড় করে পায়, এবং স্ত্রীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাড়া আসে, তাহলে স্বামীর চঞ্চলতা যৌন উত্তেজনায় রূপান্তরিত হয়। যৌন উত্তেজনার সময় স্বামীর পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার আকৃতি বেড়ে যায়, তবে অপরিবর্তিত এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে কমে পর্যন্ত যেতে পারে। পুরুষাঙ্গের আকৃতি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুরুষাঙ্গ মোটেও একফুট বা আধাফুট বড় নয়, বা তা সম্ভবও নয়। সত্তরভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত উত্তেজিত অবস্থায় পাঁচ থেকে ছয় আঙ্গুল লম্বা হয়। পাঁচ আঙ্গুলের কম হলে তাকে ছোট লিঙ্গ (উত্তেজিত অবস্থায় পাঁচ আঙ্গুলের কম হলে। স্বাভাবিকভাবে কম হলেও তাকে ছোট ধরা হবে না) এবং ছয় আঙ্গুল বা তার চেয়ে বড় হলে তাকে বড় লিঙ্গ ধরা হয়। যদিও এই ছোট বা বড় সহবাসের ক্ষেত্রে মোটেও প্রভাব বিস্তার করে না। তবুও স্ত্রীর জেনে রাখা উচিৎ কেননা স্বামীর লিঙ্গ যদি সাত আঙ্গুলের চেয়েও বেশি বড় হয়, তবে অত বড় অঙ্গখানিতে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি প্রদান করতে স্ত্রীকে কিছু বিশেষ কৌশল প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। যৌন উত্তেজিত অবস্থায় স্বামীর ঝুলন্ত অণ্ডথলি কুঞ্চিত হয়ে পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিকে উঠে আসতে পারে। এ সময় স্বামীর বীর্যথলির সমস্ত বীর্য পুরুষাঙ্গের একেবারে গোড়ায় এসে জমা হয় এবং স্বামী সঙ্গমের জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে। একারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামী উত্তেজিত অবস্থায় স্ত্রীকে কোন প্রকার আদর সোহাগ না করেই মিলিত হয়। আর মিলিত হলে স্ত্রীর যোনির উত্তজনাময় স্পর্শে স্বামী এই উত্থিত বীর্য ধরে রাখতে না পেরে প্রায় সাথে সাথেই বীর্যপাত ঘটায় এবং মিলনের ইতি ঘটে। এতে স্বামীর বীর্যপাতের অমানুষিক পরিশ্রম হয়, কিন্তু মনের সাধ মিটে না। তাই স্ত্রীর উচিত স্বামী উত্তেজিত হলে তাকে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদির মাধ্যমে তার মনের শান্তি ঘটানো। এই বিলম্বের ফলে যোনির স্পর্শে স্বামী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বীর্য স্থগিত রেখে সঙ্গম চালাতে পারে। সাধারণত স্বামী স্ত্রীর যোনিতে উত্তেজিত পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে এগারো থেকে একুশবার অঙ্গ চালনা করলে তার বীর্য স্খলন ঘটে (অঙ্গচালনা বলতে কোমর দুলিয়ে যোনির ভেতরে পুরুষাঙ্গ সামনে পেছনে করাকে বোঝায়)। বীর্যপাত স্বামীর জন্য সর্বাধিক আনন্দদায়ক এবং একই সাথে সর্বাধিক পরিশ্রমের একটি কাজ। বীর্যপাতের পর স্বামী সাধারণত কয়েক মিনিট নিস্তেজ হয়ে শুয়ে থাকে, তারপর ধীরে ধীরে কথা বলে এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে। এ সময় পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়ে আসে, অণ্ডথলি আবারও ঝুলে পড়ে স্বাভাবিক হয়তারপর আবারও কয়েক দিনের বিরতিতে পুরুষ পুনরায় সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে এবং চক্রটি চলতে থাকে।

শনিবার, ২৬ মে, ২০১২

নারী-পুরুষের প্রকারভেদ

মানুষের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে মধুর কর্মটি হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা। আর স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার তীব্রতম প্রকাশ হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক। শারীরিক সহবাসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের যতো সান্নিধ্য লাভ করতে পারে, তা অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়।

সহবাসে পুরুষ আনন্দ পায় নারীর যোনি নিঃসৃত তরল থেকে। এই তরলে কামরস নামক পদার্থ থাকে, তা পুরুষাঙ্গে লাগলে স্বামীর সমগ্র দেহে এক প্রকার শিহরণ সৃষ্টি হয় এবং এক প্রকার ঝাঁকুনির মতো অনুভব করে। সহবাসকালীন স্ত্রীর আনন্দ কোন বিশেষ অঙ্গে অনুভূত না হয়ে সমগ্র গায়ে স্বামীর আদরের দ্বারা অর্জিত হয় তবে প্রধানত স্বামীর পুরুষাঙ্গের গোড়া দ্বারা যোনিমুখের ভগাঙ্কুরে ঘর্ষণের ফলে তীব্রতর আনন্দ হয়।

সব নারীর যোনি নিঃসৃত তরলে সমপরিমাণ কামরস থাকে না। যাদের কামরস অধিক পরিমাণে থাকে, তাদের সাথে সহবাসে স্বামী শিহরণে শিহরণে আত্মহারা হয়ে উঠে এবং স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ছোট হলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কামরসের উপস্থিতির দরুণ আনন্দের আতিসাহ্য গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ আসন প্রয়োজন। আবার যদি স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে ও অধিককালব্যাপী স্থায়ী হয়, তবে তার যোনিরসে কামরসের পরিমাণ কম থাকে। তখন স্বামী সহবাসের তীব্রতর পুলক লাভ করতে পারে না। এমনকি স্বামীর পুরুষাঙ্গখানি বড় আকারের হলে পুরুষাঙ্গটিকে শিহরিত করার জন্য প্রয়োজনের চাইতে অল্প কামরসের দরুণ স্বামী সহবাসের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রেও অবশ্যই বিশেষ আসনের প্রয়োজন আছে।


নারীকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা
(ক) নীরস (এদের ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে হয়, ফলে কামরসের ঘনত্ব কম)
(খ) সাধারণ (এদের ঋতুস্রাব স্বাভাবিক পরিমাণ। এরা স্বামীকে সাধারণত তুষ্ট করতে পারে)
(গ) ঝাঁজালো (এদের ঋতুস্রাব সাধারণের তুলনায় কিছুটা কম, তাই কামরসের ঘনত্ব অধিক। তাদের সাথে সহবাসে স্বামীর পুরুষাঙ্গে তীব্র শিহরণ অনুভূত হয় এবং স্বামী আনন্দে দিশেহারা হয়ে যায়)

পুরুষকেও অনুরূপ তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা
(ক) খর্ব (এদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় অর্থাৎ মিলনের জন্য উত্থিত অবস্থায় পাঁচ আঙ্গুল বা তার চাইতে কম দীর্ঘ হয়। নীরস রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, সাধারণে অধিক আনন্দ হয়। কিন্তু ঝাঁজালো স্ত্রী হলে আনন্দ শিহরণ ও ঝাঁকুনির মাত্রা পুরুষাঙ্গে সহ্য করা কষ্টকর হয়)
(খ) সাধারণ (উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল দীর্ঘ হয়। সকল নারীতেই তৃপ্তি, তবে নীরসে কিছুটা কম ও ঝাঁজালোতে অধিক)
(গ) দীর্ঘ (উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য সাত আঙ্গুল বা তার চাইতে অধিক, এমনকি নয় বা দশ আঙ্গুল পর্যন্ত হতে পারে। ঝাঁজালো রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, কারণ বৃহৎ পুরুষাঙ্গের প্রয়োজনীয় অধিক কামরস ঝাঁজালো রমণীই যোগান দিতে পারে। সাধারণ স্ত্রীতে স্বল্প আনন্দ এবং নীরস স্ত্রীর সাথে সহবাসে বিশেষ আনন্দ নাই)

এখন প্রশ্ন হতে পারে যদি ভালবাসার উপলক্ষে কিংবা পিতামাতার ইচ্ছায় নিজের সঠিক জোড়া ছাড়া অন্য কোন প্রকারের নারী বা পুরুষের সাথে বিবাহ হয়, তাহলে কি সুখে দাম্পত্য জীবন কাটানো সম্ভবপর নয়? এর উত্তর হল, অবশ্যই সম্ভব। কারণ ভালবাসা আগে, শারীরিক চাহিদা পরে। ভালবাসাই পারে দাম্পত্য জীবনকে সুখে সমৃদ্ধ করে তুলতে। তাছাড়া যুগল অসম হলেও সহবাসের আসন সমূহ জানা থাকলে যে কোন দম্পতি পূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে শারীরিক সহবাস করতে পারবে। সহবাসের আসনসমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন এই লিঙ্কে

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১২

স্বামী-স্ত্রীর যৌন সহবাসের কিছু সাধারণ আসন

মানুষের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে মধুর কর্মটি হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা। আর স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার তীব্রতম প্রকাশ হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক। শারীরিক সহবাসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের যতো সান্নিধ্য লাভ করতে পারে, তা অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়।
এখানে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের কিশু আসনের বর্ণনা দেওয়া হলঃ
(সহবাসের শুরুতে কিছু প্রেমক্রীড়া দ্বারা পরস্পরের মধ্যে আবেগ জাগ্রত করে নিবে। তা এই আলোচনায় উহ্য রাখা হল)

সহবাসের আসনগুলোকে ভাগ করা যায় মূলত চারভাগে। যথা
(ক) পুরুষপ্রধান আসন
(খ) রমণীপ্রধান আসন
(গ) নিরপেক্ষ আসন
(ঘ) বিবিধ

এখানে মনে রাখা দরকার, একজোড়া দম্পতির জন্য সকল আসন উপযোগী হবে, তা আশা করা যায় না। এক জোড়া দম্পতির জন্য কোন প্রকার আসন উপযুক্ত হবে, তা খুঁজে বের করতে হবে নিজেদেরই। এর জন্য স্বামী-স্ত্রীর নিজেদেরকে জানতে হবে। সহবাসে পুরুষ আনন্দ পায় নারীর যোনি নিঃসৃত তরল থেকে। এই তরলে কামরস নামক পদার্থ থাকে, তা পুরুষাঙ্গে লাগলে স্বামীর সমগ্র দেহে এক প্রকার শিহরণ সৃষ্টি হয় এবং এক প্রকার ঝাঁকুনির মতো অনুভব করে। সহবাসকালীন স্ত্রীর আনন্দ কোন বিশেষ অঙ্গে অনুভূত না হয়ে সমগ্র গায়ে স্বামীর আদরের দ্বারা অর্জিত হয় তবে প্রধানত স্বামীর পুরুষাঙ্গের গোড়া দ্বারা যোনিমুখের ভগাঙ্কুরে ঘর্ষণের ফলে তীব্রতর আনন্দ হয়।
সব নারীর যোনি নিঃসৃত তরলে সমপরিমাণ কামরস থাকে না। যাদের কামরস অধিক পরিমাণে থাকে, তাদের সাথে সহবাসে স্বামী শিহরণে শিহরণে আত্মহারা হয়ে উঠে এবং স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ছোট হলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কামরসের উপস্থিতির দরুণ আনন্দের আতিসাহ্য গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ আসন প্রয়োজন। আবার যদি স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে ও অধিককালব্যাপী স্থায়ী হয়, তবে তার যোনিরসে কামরসের পরিমাণ কম থাকে। তখন স্বামী সহবাসের তীব্রতর পুলক লাভ করতে পারে না। এমনকি স্বামীর পুরুষাঙ্গখানি বড় আকারের হলে পুরুষাঙ্গটিকে শিহরিত করার জন্য প্রয়োজনের চাইতে অল্প কামরসের দরুণ স্বামী সহবাসের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রেও অবশ্যই বিশেষ আসনের প্রয়োজন আছে।

আমাদের পরবর্তী আলোচনার সুবিধার্থে আমরা এখানে নারী-পুরুষের একখানি শ্রেণীবিভাগ করবো। নারীকে তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) নীরস (এদের ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে হয়, ফলে কামরসের ঘনত্ব কম)
(খ) সাধারণ (এদের ঋতুস্রাব স্বাভাবিক পরিমাণ। এরা স্বামীকে সাধারণত তুষ্ট করতে পারে)
(গ) ঝাঁজালো (এদের ঋতুস্রাব সাধারণের তুলনায় কিছুটা কম, তাই কামরসের ঘনত্ব অধিক। তাদের সাথে সহবাসে স্বামীর পুরুষাঙ্গে তীব্র শিহরণ অনুভূত হয় এবং স্বামী আনন্দে দিশেহারা হয়ে যায়)

পুরুষকেও অনুরূপ তিনভাগে ভাগ করবো। যথা
(ক) খর্ব (এদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় অর্থাৎ মিলনের জন্য উত্থিত অবস্থায় পাঁচ আঙ্গুল বা তার চাইতে কম দীর্ঘ হয়। নীরস রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, সাধারণে অধিক আনন্দ হয়। কিন্তু ঝাঁজালো স্ত্রী হলে আনন্দ শিহরণ ও ঝাঁকুনির মাত্রা পুরুষাঙ্গে সহ্য করা কষ্টকর হয়)
(খ) সাধারণ (উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল দীর্ঘ হয়। সকল নারীতেই তৃপ্তি, তবে নীরসে কিছুটা কম ও ঝাঁজালোতে অধিক)
(গ) দীর্ঘ (উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য সাত আঙ্গুল বা তার চাইতে অধিক, এমনকি নয় বা দশ আঙ্গুল পর্যন্ত হতে পারে। ঝাঁজালো রমণীতে পূর্ণ তৃপ্তি, কারণ বৃহৎ পুরুষাঙ্গের প্রয়োজনীয় অধিক কামরস ঝাঁজালো রমণীই যোগান দিতে পারে। সাধারণ স্ত্রীতে স্বল্প আনন্দ এবং নীরস স্ত্রীর সাথে সহবাসে বিশেষ আনন্দ নাই)

এ সংক্রান্ত পোস্টটি দেখুন এখানে

পুরুষপ্রধান আসনঃ
পুরুষ প্রধান আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্বামীর কাছে, তবে স্ত্রীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই পদ্ধতিটিই সাধারণ সহবাস কৌশল হিসাবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এই আসনে স্ত্রী চিৎ হয়ে শয়ন করে ও স্বামী তার উপর উপুর হয়ে গমন করে। স্বামীর পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কম হলে স্ত্রী পা দুইটি সোজা করে রাখবে। আন্যথায় স্ত্রী হাঁটু ভাঁজ করে পা দুইটি স্বারা স্বামীর কোমর বেষ্টন করে রাখবে। এতে উভয়ের আনন্দ অধিক হবে। স্বামীর পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হলে স্বামীর উচিৎ হবে সঠিক প্রবেশ নিশ্চিত করতে স্ত্রীর পা দুইটিকে আরও উপরে তুলে নিয়ে স্বামীর দুই কাঁধের উপরে স্থাপন করা। আরও গভীর প্রবেশের সুবিধার্থে স্ত্রীর কোমরের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ স্থাপন করা যেতে পারে।

রমণীপ্রধান আসনঃ
এই প্রকার আসনে সহবাসের মূল নিয়ন্ত্রণটি থাকে স্ত্রীর হাতে। স্বামী বদমেজাজী হলে অথবা স্বামী যদি স্ত্রীকে উৎপীড়ন-নির্যাতন করে, তাহলে স্বামীকে বশে আনতে স্ত্রীর প্রধান অস্ত্র রমণীপ্রধান আসন। তাছাড়া স্ত্রী যদি নীরস (ঋতুস্রাব অধিক স্থায়ী) হয়, তাহলে স্বামীকে সহবাসের পর্যাপ্ত আনন্দ প্রদান করতে রমণীপ্রধান আসনই উপযুক্ত, বিশেষ করে স্বামী যদি দীর্ঘ হয়। এই প্রকার আসনে স্বামী চিৎ হয়ে শয়ন করবে এবং স্ত্রী তার উপর উপুর হয়ে শুয়ে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে নিবে। তারপর স্ত্রী নিজের কোমর সামনে-পিছনে, উপর-নিচে, ডানে-বামে কিংবা বৃত্তাকারে নানা প্রকারে ঘুরিয়ে (যে প্রকারে আনন্দ সর্বাধিক হয়) সহবাস পরিচালনা করবে। স্ত্রীর হাঁটু ভাঁজ করে স্বামীর কোমরের দুই পাশে ফেলে রাখতে পারে অথবা পা সোজা করেও রাখতে পারে। বেশিরভাগ স্বামী স্ত্রীকে পরিচালনার ভূমিকায় দেখতে অপছন্দ করলেও কিছু কিছু পুরুষ অধিক আনন্দের জন্য রমণীপ্রধান আসন পছন্দ করে থাকে।

নিরপেক্ষ আসনঃ
এই আসনেও কার্যকর ভূমিকা থাকে স্বামীরই, তবে কেউ কারও উপর শায়িত থাকে না বলে নিরপেক্ষ আসন বলে। যদি স্বামীর পুরুষাঙ্গ খর্ব হয়ে থাকে, তাহলে অধিক গভীরতায় প্রবেশের নিমিত্তে এই আসনটি সর্বাধিক উপযুক্ত। এই আসনে স্ত্রী দুই হাতের কুনুই ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে উঁবু হবে (হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিমায়), আর স্বামী তার পেছন থেকে (হাঁটুর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে) স্ত্রীর যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সামনে পেছনে কোমর চালনা করে সহবাস সম্পাদন করবে। তবে কোন ক্রমেই পায়ুপথে সহবাস করা যাবে না, কারণ তা ধর্মমতে ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এই আসনে পূর্বেকার আসন দুইটির মতো ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন ও অন্যান্য আদর-সোহাগের সুযোগ কম থাকে।

বিবিধঃ
এছাড়াও আরও নানা প্রকারে সহবাস হতে পারে। যেমন সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা সমান হতে হবে।
সামনাসামনি বসে। পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে, পাশাপাশি বিপরীতমুখী শুয়ে, ইত্যাদি বহুবিধ আসন।


সহবাসে আসন সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন স্বাভাবিক নিয়মে সহবাস করার পর ভিন্ন ভিন্ন আসনে চেষ্টা করে দেখতে হবে নিজেদের সবচাইতে উপযুক্ত আসন কোনটি এবং কোন আসনে পরস্পরের সর্বাধিক সুখ বোধ হয়। তারপর সেই আসনেই সর্বদা মিলিত হবে। কেননা ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বামী আনন্দ পাচ্ছে, কিন্তু স্ত্রী সুখ বোধ করছে না, অথবা স্ত্রী সন্তুষ্ট, কিন্তু স্বামী সুখী নয়, এরূপ আসন নির্বাচন করা যাবে না। তাতে দাম্পত্য জীবনে আনন্দের ঘাটতি দেখা দিবে।
স্বামী কোন নির্দিষ্ট আসনে সহবাস না করে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন আসনে সহবাস করে, এরূপ হলে স্ত্রীর বুঝতে হবে সে স্বামীকে পূর্ণাঙ্গরূপে তৃপ্ত করতে পারছে না, যা একজন পুরুষ চায়। তখন স্বামীকে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে সচেষ্ট হতে হবে।



খাৎনা বা মুসলমানীঃ গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আনুসঙ্গিক

খাৎনা বা মুসলমানী আমাদের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একটি অতি নিয়মিত ঘটনা। এই পোস্টটিতে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে খাৎনাকে বিশ্লেষণ করা হবে।
পুরুষাঙ্গের সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কীন পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে সেই চামড়া কর্তন করাকে খাৎনা বা মুসলমানী বলে। সাধারণত মুসলমান, ইহুদি ও খ্রীস্টান পুরুষেরা খাৎনা করে থাকে।


খাৎনার প্রয়োজনীয়তাঃ
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রীষ্টানরা খৎনা করিয়ে থাকে।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারা ফাইমোসিস রোগ হলে খাৎনা বা মুসলমানী করাতে হয়।
 ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মুত্রনালীকে ঢেকে রাখে যে বাচ্চা বা রোগীর প্রশ্রাবের সময় মাথাটা ফুলে উঠে। এই ভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে প্রশ্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিওর হতে পারে।প্যারা ফাইমোসিস রোগ হলে  পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়, যার ফলে চামড়াটাকে আর সামনে ও পিছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয় ক্ষেত্রেই জরুরী ভিত্তিতে খাৎনা করা প্রয়োজন। 

(গ)আরো নানাবিধ কারণে খাৎনা দরকার হয় যেমন-পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় পেন্টের চেইনের সাথে আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যে কোন ধর্মাবলম্বী লোকের খৎনা করা হয়।


খাৎনা করানোর বয়সঃ
যতো কম বয়সে খাৎনা করানো হবে, ততোই মঙ্গল। অধিক বয়সে খাৎনা করালে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। বয়ঃপ্রাপ্তির পূর্বেই খাৎনা করাতে হবে। অন্যথায় লিঙ্গোত্থানের ফলে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
আমাদের দেশে সাধারণত প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বালকদের খাৎনা করা হয়। আরবের মুসলিম দেশগুলোতে দুই-তিন বছর বয়সেই অধিকাংশ ছেলেদের খাৎনা সম্পন্ন করা হয়।


খাৎনা বা মুসলমানী করালে কি উপকারীতা:
(ক) পুরাষাঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে নাই বললেই চলে। তার প্রধান কারণ খাৎনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নীচে সাদা এক ধরনের পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার এর জন্য দায়ী।
(খ) যৌন রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা যায়। মুসলমানী করা পুরুষের স্ত্রীর দ্বারা যৌন রোগে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
(গ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সুবিধা হয়। পুরুষাঙ্গের অগ্রত্বকের নিচে সাদা পদার্থ জমে দুর্গন্ধ হয়, স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর যোনিরস প্রবেশ করে পরবর্তীতে যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। মুসলমানী করা পুরুষের এসমস্ত অসুবিধা নাই।


কখন খাৎনা করা যাবে না: 
হাইপোষ- পেডিয়াসিস রোগ। এটা পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এখানে মনে হবে বাচ্চা জন্মগতভাবে খাৎনা হয়ে এসেছে। এই ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ক্রটি মেরামতের সময় প্রয়োজন হয়। তাই খাৎনা করানো নিষেধ।


দাম্পত্য জীবনে খাৎনা বা মুসলমানীর প্রভাবঃ
যেহেতু পুরুষাঙ্গ দাম্পত্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তাই দাম্পত্য জীবনে খাৎনা বা মুসলমানীর প্রভাব অনেক।  


পুরুষাঙ্গের মাথা খুব সংবেদনশীল। স্ত্রীসহবাসের সময় একজন খাৎনা করা পুরুষ স্ত্রীযোনির স্পর্শে মাত্রাতিরিক্ত শিহরণ অনুভব করে, যা থেকে একজন অমুসলিম পুরুষ সারা জীবন বঞ্চিত থাকে। আবার খাৎনা করার ফলে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের গভীর রিং-এর মতো খাঁজটি চামড়া নিচ থেকে উন্মুক্ত হয়ে যায়। সহবাসের সময় এই গভীর ভাঁজের ঘর্ষণে স্ত্রী অত্যন্ত পুলক অনুভব করে যা শুধুমাত্র একজন মুসলমানী কুরা পুরুষের স্ত্রীই অনুভব করতে পারে।
অনেক অমুসলিম পুরুষই স্ত্রীকে এই তৃপ্তি দিতে পুরুষাঙ্গের চামড়া গোড়ার দিকে টেনে ধরে অগ্রভাগের খাঁজটি উন্মুক্ত করে সহবাস করে, যা পুরুষাঙ্গে ব্যথার অনুভূতি সৃষ্টি করে। 
সুতরাং খাৎনার দ্বারা নারী-পুরুষ উভয়েরই দাম্পত্য সুখ বহুগুণে বেড়ে যায়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় পুরুষাঙ্গের স্পর্শকাতর অগ্রভাগ উন্মুক্ত থাকলে ভ্রুণের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তা চামড়া আবৃত থাকে। পরে ইসলামে এই চামড়া কেটে ফেলার বিধান দেওয়া হয়েছে, যাতে বান্দা প্রকৃত সুখ পেতে পারে। এখানেই আল্লাহর অপার মহিমার পরিচয়।


সঙ্গী খুঁজে পেতে খাৎনার ভূমিকাঃ
স্ত্রীর জন্য সহবাসের আনন্দে স্বামীর পুরুষাঙ্গের আকার তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, যদিও অপেক্ষাকৃত বড় পুরুষাঙ্গ স্ত্রীকে একটি ভরাট অনুভূতি দেয়, যা তৃপ্তিদায়ক। কিন্তু স্বামীর যৌন সুখ নিজের পুরুষাঙ্গের আকারের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। সহবাসের সময় স্ত্রীর গুপ্তস্থান আর্দ্র হয়ে উঠে এবং নারীর যোনি নিঃস্পৃত এই রসে কামরস নামক পুরুষাঙ্গের জন্য তৃপ্তিদায়ক একপ্রকার থকথকে পদার্থ থাকে। স্বামী সহবাসে আনন্দ পায় মূলত পুরুষাঙ্গে এই রসের স্পর্শে।
কিন্তু সকল নারীর যোনিরসে কামরসের পরিমাণ সমান থাকে না। যে সব নারীর মাসিক ঋতুস্রাব বেশি সময় স্থায়ী হয়, তাদের যোনিরসে কামরসের পরিমাণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর কমে যায়।
পুরুষ নিজের পুরুষাঙ্গের আকার সম্পর্কে সঠিক ধারণা করতে পারে না, যেহেতু তুলনা করার মতো অন্য কোন পুরুষাং সে দেখে নাই। খাৎনা করার মাধ্যমে সে এই সম্বন্ধে একটি ধারণা পেতে পারে। প্রায় সকল পুরুষের লিঙ্গের অগ্রভাগ বা লিঙ্গমুণ্ডের আকৃতি সমান (প্রায় তিন আঙ্গুল)| যদি পুরুষের পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত (মিলনের জন্য প্রস্তুত) অবস্থায় গোড়ার দৈর্ঘ্য লিঙ্গমুণ্ডের দৈর্ঘ্যের চাইতে কম হয়, অর্থাৎ মুণ্ডিটি পুরুষাঙ্গের অর্ধেকের চাইতে বেশি হয়, তাহলে পুরুষাঙ্গ হ্রস্বাকৃতির। যে কোন প্রকার যোনিরসে এই পুরুষ আনন্দ পাবে, তবে স্ত্রীর ঋতুস্রাব খুব কম দিন স্থায়ী হলে যোনিরসে কামরসের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় অধিক শিহরণ সহ্য করা স্বামীর জন্য কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে সহবাসের (স্ত্রী চিৎ হয়ে শয়ন ও স্বামী তার উপর উপুর হয়ে গমন) পরিবর্তে চতুষ্পদ প্রাণীর মতো পাশাপাশি সহবাস করলে উভয়ের অধিক আনন্দ হবে।
যদি পুরুষাঙ্গের গোড়া মুণ্ডির সমান বা প্রায় সমান হয়, তাহলে পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিকাকৃতির। সকল প্রকার স্ত্রী এদের তৃপ্ত করতে পারে। তবে অধিক ঋতুস্রাব সম্পন্ন স্ত্রী হলে এই স্বামী কম তৃপ্তি এবং স্বল্প ঋতুবতী অধিক কামরস সম্পন্না স্ত্রী হলে অত্যধিক তৃপ্তি ঘটে।
যদি পুরুষাঙ্গের গোড়া মুণ্ডি অপেক্ষা দীর্ঘ হয়, তাহলে পুরুষাঙ্গ দীর্ঘাকৃতির। স্বল্প ঋতুবতী অধিক কামরস সম্পন্না স্ত্রী দ্বারা এই স্বামীর সঠিক সুখ বোধ হয়। স্ত্রীর স্রাব অধিক হয়ে যোনিরসে কামরসের পরিমাণ কম হলে স্ত্রী এই স্বামীকে
তৃপ্ত করতে পারে না, এক্ষেত্রে স্বাভাবিক সহবাসের পরিবর্তে স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে চিৎ করে শয়ন করিয়ে নিজে তার উপর উপুর হয়ে কোমর চালনা করে সহবাস করা। এভাবে স্বল্প কামরস নিয়েও স্বামীকে অধিক আনন্দ দিতে পারবে।
কিছু পুরুষের মুন্ডির তলনায় গোড়ার দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ বা তার থেকেও বেশি হয়, এদের বলে অশ্বাকৃতির পুরুষাঙ্গ। রমণীরা এদের সাথে সহবাসে আগ্রহী হয়, কারণ এই পুরুষ অধিক কামুক হয় বিধায় রমণীর সর্বপ্রকার যৌন বাসনা পূরণ করতে সমর্থ হয়। কিন্তু এই স্বামীকে তৃপ্ত করা সকল স্ত্রীর পক্ষে সম্ভবপর হয় না। এমনকি স্বল্প ঋতুবতী অধিক কামরস সম্পন্না স্ত্রীও তাকে সর্বদা সন্তুষ্ট করতে পারে না। স্বামী এরূপ হলে স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে চিৎ করে শয়ন করিয়ে নিজে তার উপর উপগত হয়ে কোমর চালনা করে সহবাস করা। যদিও পুরুষ নিজের আধিপত্য প্রকাশ করতে সব সময় স্ত্রীর উপরে উঠে সহবাসে আগ্রহী থাকে, তথাপি এই বিপরীত বিহার ছাড়া এই ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টি সম্ভবপর নয়।
খাৎনা বা মুসলমানী এরূপ নিজের উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে এবং বিবাহের পর সর্বাধিক আনন্দ লাভের পন্থা নির্ধারণে সহায়তা করে।




খাৎনা না করার কুফলঃ
খাৎনা না করলে একজন মুসলমান পুরুষের ধর্মীয় বিভিন্ন বিধি বিধান মেনে চলা কষ্টকর হয়। ফরজ গোসল করা কষ্টকর  হয়ে যায়। দাম্পত্য সুখের প্রকৃত মহিমা অজানা থেকে যায়। নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।


এ সকল কারণে সাম্প্রতিককালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাৎনা করার হার বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে গত দশকে আমেরিকায় খাৎনা করার হার তার পূর্ববর্তী দশকের চাইতে ৩০% বেশি ছিলো। অথচ আমাদের মতো মুসলিম প্রধান দেশের অনেক মানুষ খাৎনার বিরুদ্ধে কথা বলে। তাদের উচিৎ খাৎনা তথা মুসলমানীর উপকারিতা সম্পর্কে জানা।